প্রযুক্তি ডেস্ক: আমেরিকা ও তার মিত্রদের মধ্যে অন্তত ২০টি দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার ও সেনাকর্তারা হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারির শিকার হয়েছেন। ব্যক্তিগত তথ্যাদি জানার জন্য এ বছরের গোড়ার দিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তে জড়িতদের সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
ফেসবুক তদন্তে জানতে পেরেছে, ভারত ছাড়াও ওই নজরদারির শিকার হয়েছেন আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরাইন, মেক্সিকো ও পাকিস্তানের মতো আরও কয়েকটি দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার ও সেনাকর্তারা। পাঁচটি মহাদেশে ছড়িয়ে থাকা যে দেশগুলির বেশির ভাগই আমেরিকার বন্ধু বলে পরিচিত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যাঁরা নজরদারির শিকার হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই অত্যন্ত উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার ও সেনাকর্তা।
তদন্তকারীদের ধারণা, ওই হোয়াটসঅ্যাপ নজরদারির পিছনে কোনও সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে। নজরদারির অভিযোগে ইজরায়েলি হ্যাকিং টুল ডেভেলপার ‘এনএসও গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
তবে নজরদারির পিছনে ঠিক কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। কারণ, ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও জানিয়েছে, তারা স্পাইওয়্যারটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করেছিল।
স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টার জন্য ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও-র বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে যাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে আড়ি পাতার চেষ্টা হয়েছিল, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবেও সতর্কও করে দেয় মার্ক জাকারবার্গের সংস্থাটি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া