স্বাস্থ্য ডেস্ক:অনেক মানুষ আছেন যারা প্রায়ই কোমর বা মাজা ব্যথায় ভোগেন। কেউ কেউ এর তীব্র যন্ত্রণায় ভোগেন। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যথা থাকার কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া থেকে একপর্যায়ে দৈনন্দিন কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মেরুদণ্ডের পশ্চাৎদেশীয় অংশে অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার জন্য এ ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো মেরুদণ্ডের হাড়ের (কশেরুকা) বয়সজনিত ক্ষয়ের (লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস) জন্য হয়। আবার কখনো দুই কশেরুকার মাঝের কচি হাড় পেছনে সরে গেলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। শুরুতে চিকিৎসা না নিলে একসময় এটা চিরস্থায়ী রোগে রূপ নেয়।
হাঁটা, দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় কোমরকে সোজা বা টান টান রাখার চেষ্টা করতে হবে। হেলান দেয়ার সময় পিঠ ও কোমর চেয়ারের পিঠে ঠেকিয়ে বসতে হবে। চেয়ারের পিঠ ও কোমরের মধ্যে যেন কোনো ফাঁকা না থাকে। সামনের দিকে ঝোঁক দেয়া যাবে না। নিচু জায়গা থেকে কখনো কিছু উপরে তোলার প্রয়োজন হলে কোমর সোজা রেখে হাঁটু গেড়ে বসার চেষ্টা করতে হবে। জিনিসটি ধরার পর কোমর সোজা রেখেই আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।
ভারী কোনো বস্তু বা জিনিস বহন করা যাবে না। খুবই জরুরি হলে দুই হাত সমান ভাগ করে তবেই ওজন বহন করতে হবে। দীর্ঘদিন যদি বসে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে কোমর সোজা রেখে কাজ করতে হবে। মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে কোমর টানটান করতে হবে এবং কিছুক্ষণ হাঁটতে হবে। আবার একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
আইএনবি/বিভূঁইয়া