এমডি বাবুল ভূঁইয়া: সন্তান অবাধ্য হওয়ার পেছনে বাবা-মা যেমনি দায়ী, পাশাপাশি পরিবেশ পরিস্থিতিও এর সাথে জড়িত ।
সন্তান অবাধ্য হয় চারটি কারণ —
১। বংশগত কারণ।
২। সন্তানের প্রাপ্য ন্যুনতম ভালোবাসা/স্নেহ/মমতা/আদর না দিলে।
৩। লাগামহীন প্রশ্রয় বা লাই দিয়ে মাথায় তোলা ।
৪। অত্যধিক শাসন বা অকারণে শাসন বা অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ করা ।
একটি গাছ দিয়ে বুঝিয়ে বলি,,,একটি বাঁকা গাছ কে ছোট থেকে খুঁটি দিয়ে সোজা করা যতটা সহজ, বড় হয়ে গেলে সেটা আর সম্ভব হয় না। বরং তখন চেষ্টা করলে সে গাছটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। তাই ছোট থেকেই প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত সন্তানকে এমন ভাবে বড় করা যাতে তারা পরবর্তীতে প্রকৃত মানুষের উদাহরণ হতে পারে। বাবা- মায়ের উচিত সন্তান কে আদর এবং শাসন দুটোর নিয়ন্ত্রণে রাখা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট শিশুদের বদ কাজ গুলো মা বাবা অনায়াসে হেঁসে হেঁসে গ্রহন করে। বাঁধা দেওয়া তো দূরের কথা চোখ রাঙ্গিয়েও একটু বুঝতে দেয় না তার করা কাজ টি কতটুকু খারাপ!! সন্তান ও বুঝতে পারেনা বলে স্বাভাবিক ভাবেই সে কাজ গুলো করতে থাকে।
কখনো আবার দেখা যায়, বাবা সন্তানকে কোন কারনে ধমক বা চোখ রাঙ্গালে মা এসে সন্তানের সামনেই সন্তানের পক্ষপাতিত্ব করেন, বিপরীতে অনেক বাবাও করে থাকেন (মা সন্তানকে কোন কারনে ধমক বা চোখ রাঙ্গালে বাবা এসে সন্তানের সামনেই সন্তানের পক্ষপাতিত্ব করেন) তাতে সন্তানের সাহস বৃদ্ধি পায় এবং সে মনে করে আমার পক্ষেতো একজন আছেনই… যা সন্তান নস্ট হওয়ার বড় একটা কারন। এই কাজটা কোন মা-বাবারই করা উচিত নয়। তাতে করে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারন করে। তখন বাবা মায়ের কথা শুনার মতো সে সন্তানের মেন্টালিটিও কাজ করে না। তখন সে আর তাদের কথা শুনে না। নিজের ইচ্ছে মতো যা ভালো লাগে তাই করে। কারণ তার বেড়ে উঠার শিক্ষা ছিল ভুল। সে ভুল পদ্ধতিতে জীবন কে বুঝতে শিখেছে। তার ভেতর ভালো খারাপ বোধ তৈরী হওয়ার মতো শব্দ এবং আচরণ সে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে পায় নি।
মা-বাবা কেউই সন্তানের শত্রু নন…উভয়েই চায় সন্তানের মঙ্গল। তবে সবার ক্ষেত্রে যে বাবা মা দুজন দায়ী তা কিন্তু না। কারো ক্ষেত্রে বাবার কারণেও হতে পারে, কারো ক্ষেত্রে মায়ের কারণে ও হতে পারে। কখনো তৃতীয় ব্যাক্তির কারনেও হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় বাবা মায়ের শিক্ষা পাওয়ার পরেও অনেকে ভুল মানুষের চলাফেরায় খারাপ হয়ে থাকে। অনেকে আবার পরিস্থিতির শিকার হয়ে খারাপ হতে বাধ্য হয়। তবে সবার চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাবা মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা।। পাশাপাশি মা কিংবা বাবা কোন কারনে কেউ সন্তানকে ধম,ক বা শাসন করিলে তখন সন্তানের সামনেই তার সাফাই করা থেকে বিরতী থাকবেন।
আইএনবি নিউজ