নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে বাড়ছে বিভিন্ন রকমের শীতের সবজির আনাগোনা। দিন যত যাচ্ছে নতুন নতুন শাকসবজিতে ভরপুর হয়ে উঠছে বাজার। পাশাপাশি পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এদিকে আমদানি ও সরবরাহ কমায় আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজির দাম। আর গত সপ্তাহের থেকে কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে দেশি ও আমদানি পেঁয়াজের দাম।
সকালে কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে যে আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল তা সপ্তাহের ব্যবধানে আজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে একই দামে। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বড় সাইজগুলো ১২০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সোলায়মান জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দেখা গেলেও গত সপ্তাহের থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। আমরা দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকার উপরে বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
এদিকে গত সপ্তাহের থেকে কিছুটা দাম কমে প্রতিকেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ১০০ টাকা আর সিম বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম কমার বিষয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে আসা ক্রেতা জুয়েল রানা বলেন, গত সপ্তাহের থেকে প্রায় সব সবজিতে দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের থেকে পটলের দাম কমেছে ১০ টাকা সিমের দাম কমেছে ২০ টাকা আর বেগুনের দাম কমেছে ১০ টাকা। তবে সরবরাহ অনুযায়ী দাম আরও কিছুটা কমা উচিত।
এদিকে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আজও বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। সবজির সঙ্গে কিছুটা কমেছে শাকের বাজার। এসব বাজারে প্রতি আটি লাল শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, মুলার শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা আটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, মাগুর ১৮০-২০০ টাকা, সুরমা ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, রুই ২৩০-৩০০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৬৫০-৮০০ টাকা, বড় ইলিশ ১২০০-১৫০০ টাকা এবং প্রতি কেজি রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১২০০ টাকায়।
আর বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা, কক মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।