মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান
একাদশ জাতীয় সংসদ শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ সফলভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে সুসম্পন্ন হল। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কাক্সিক্ষত না হলেও দেশী-বিদেশী চক্রান্তকে রুখে দিয়ে মোটামুটি, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিভিন্ন শক্তিধর দেশ ও দেশের রাষ্ট্রদূত, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে শক্তিরা। আমিও ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
একাদশ সংসদ, সরকার ও মন্ত্রীসভার দিকে পিছন ফিরে আমরা সকলেই দেখি… কী পেলাম, কী হারালাম? পাওয়ার ও হারানোর খাতা নেড়েচেড়ে দেখলে,দেখা যায় অনেক কিছু পেয়েছি, এগিয়েছি, অর্জন করেছি , এবং কিছু হারিয়েছি…হতাশ হয়েছি, ব্যর্থ হয়েছি, কিছু মানুষের লোভ স্বার্থপরতা হিংসা অশুভ সিন্ডিকেট দেখেছি—এই হিসেব নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে , ভোট নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে শেষ হয়ে যায় বছর…নতুন মন্ত্রীসভা ও সরকারের কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। অনেক আশা ও স্বপ্নের অন্বেষনে…নতুন সরকার এবং যুক্ত সবাইকে সাদর আহ্বান , অংশগ্রহণ করুন দেশের সত্যিকারের উন্নয়নে। আসুন সোনার বাংলাদেশ গড়ার পাওয়া ও চাওয়ার খাতায় চোখ বুলিয়ে নেই একনজর…
অপেক্ষায় আগামী মন্ত্রী সভায় আলোকিত মানবিক দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্যর্থ , স্বার্থপর লোভী ও নিস্প্রভ মন্ত্রীরা যেন ঠাই না পায় ।
দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে নস্যাৎ করে সাধারণ মানুষ সংবিধান ও গণতন্ত্র সুসংহতা রাখার স্বার্থে উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বিপুল রায় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ৭ জানুয়ারি বিজয়ের মালা গলায় পড়িয়েছে।
আমজনতার পক্ষে, ১৮ কোটি মানুষের পক্ষে, কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পক্ষ হতে সবিনয় নিবেদন যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, যারা শিক্ষাব্যবস্থাকে কাক্সিক্ষত মানে উন্নীত করতে চরম ব্যর্থ হয়েছেন, যারা স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে পারেননি , সেবা খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি!! যারা সিন্ডিকেট কে প্রশ্রয় দিয়ে নিত্য ভোগ্যপণ্য লাগামহীন করে লোভ স্বার্থে বাস্তবায়নে, জনগণকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যথাযত সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সফলতা দেখাতে পারেননি, সেই সকল অমানবিক, দেশপ্রেমহীন, হীনমন্য ব্যর্থ ও চাটুকারদেরকে আপনার আলোকিত নেতৃত্বে আলোকিত মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন না।
আপনার দলে, জোটে, দেশে দেশের বাইরে সৎ, মেধাবী, আলোকিত ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব রয়েছে আপনি তাদেরকে বিবেচনায় নিয়ে একটি আলোকিত মন্ত্রীসভা গঠন করুন।
পর্যটন এর রাজধানী কক্সবাজার থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী চাওয়ার দোষের কিছু নয় বরং এটা আমাদের ন্যায্য দাবীও বটে। যদি সিন্ডিকেটমুক্ত, আলোকিত মন্ত্রী সভা গঠিত হয়, তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে , আপনার উন্নয়নের বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক
সভাপতি
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ ও চেয়ারম্যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন।