আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক মহিলা স্বামী-মেয়েকে বাঁচাতে অ্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল চালিয়ে এক দুষ্কৃতীকে গুলি করে মারলেন । ঘরের জানালা ভেঙে দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে বাড়িতে। মারধর করা হয় মহিলা স্বামীকে। এমনকি তাঁদের মেয়ের মাথায় বন্দুক ধরা হয়। পালানোর সয়ম তাদের দিকে গুলি চালান মহিলা। তাতেই এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়।
ফ্লোরিডায় লিথিয়া-র ওল্ড ওয়েলকাম রোডে নিজের বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন জেরিমি কিং। জেরিমির স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। গত সপ্তাহে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী। দু’জনের হাতেই ছিল দুটি সাধারণ পিস্তল। তারা জেরিমিকে মারধর করে। জেরিমির ১১ বছরের মেয়ের দিকে বন্দুক তাক করে। জেরেমির স্ত্রী বার বার বলছিলেন তাঁদের দেওয়ার মতো কিছু নেই। কিন্তু দুষ্কৃতীরা বার বার বলছিল, যা আছে দিয়ে দিন।
ঠপাট চালিয়ে তারা পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে যায়। তখনও জেরিমি ও তার মেয়ের দিকে বন্দুক তাক করা ছিল। তারই ফাঁকে জেরিমির স্ত্রী ভিতরের ঘরে ঢুকে নিয়ে আসেনলাইট ওয়েট সেমিঅটোমেটিক রাইফেল এআর-১৫।
বন্দুক নিয়ে বসার ঘরে ফিরে এসেই দুষ্কৃতীদের দিকে গুলি চালাতে শুরু করেন জেরিমির স্ত্রী। রাইফেল দেখেই পালানোর চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে একজনের বেশ কয়েকটি গুলি লাগে। দু’জনেই সেখান থেকে তখন পালিয়ে গেলেও পরে তাদের একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জেরিমির নাকে, চোখে আঘাত লেগেছে। মোট ২০টি সেলাই করতে হয়েছে। জেরিমি বা তাঁর স্ত্রী কেউই দুষ্কৃতীদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁদের ধারণা, হঠাত্ করেই এই আক্রমণ হয়নি, তাঁদের ‘টার্গেট’ করা হয়েছিল। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
আনন্দবাজার
আইএনবি/বিভূঁইয়া