আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমবার কাতালোনিয়া স্বাধীনতার আন্দোলনের এই নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সোমবার তাদেরকে ৯ থেকে ১৩ বছরের সাজা দিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুইগডেমন্টের বিরুদ্ধে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ও কাতালান স্বাধীনতাকামীরা। বিবিসি
এ সময় সাবেক কাতালান ভাইস প্রেসিডেন্ট ওরিওল জাঙ্কেরেসকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের টাকা অবৈধভাবে ব্যবহারের দায়ে সর্বোচ্চ ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন কাতালান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী নেতাও রয়েছেন। তবে তাদেরকে কারাদণ্ড না দিয়ে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার শুরু থেকেই ওই ১২ জন নেতা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত শুনানি চলাকালে তারা বলেছিলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অবিচার করা হচ্ছে।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কাতালোনিয়া স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা জাঙ্কেরেস দাবি করেন, ‘স্পেন সরকার ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শীদেরকে জেলে পাঠাচ্ছে, যা স্বাধীনতাকামীদের আরও শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে।’ তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেড্রো সানচেজ জানান, অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ার কারণেই রাজনৈতিক নেতাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে আদালতের রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন এবং কাতালান ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ওই অঞ্চলের সকল ফুটবল ম্যাচ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন।
রায় ঘোষণার পর কাতালান স্বাধীনতা আন্দোলনের সমর্থনকারী জনতা বার্সোলোনার কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তাদের হাতে ছিলো বিভিন্ন ব্যানার ও কাতালান পতাকা। এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ছিলো, ‘এটা ন্যায় বিচার নয়, এটা হলো প্রতিশোধ’। এ ঘটনায় সেখানকার রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন করেছে স্পেন সরকার।
আইএনবি/বিভূঁইয়া