রৌদ্রস্নান করোনামুক্তির ওষুধ!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে সহায়তা করে ভিটামিন ডি। সকালের মিষ্টি রোদে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি। বিজ্ঞানীদের মতে, ভিটামিন ডি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

কোভিড-১৯ ভাইরাস মানব শরীরে ঢুকলেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। মানবদেহের কোষগুলিকে নির্বিচারে ধ্বংস করে দেয়। প্রতিরোধক্ষমতা কমে ক্রমশ মৃত্যু হয়। এই মারাত্মক শত্রুর হাত থেকে নিস্তার পেতে নতুন পথ বাতলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ভাদিম ব্যাকম্যান।

অধ্যাপক ব্যাকম্যান ইতালি, চীন, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি কম তারাই বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও হচ্ছে তাদেরই বেশি। অন্যদিকে যাদের শরীরে তুলনামূলকভাবে ভিটামিন ডি বেশি, তারা সুস্থ।

ব্যাকম্যান আর তার সহকর্মীদের গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন দেশেও এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু। কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে গবেষকদের মধ্যে ফের ভিটামিন ডি’র ক্ষমতা যাচাই শুরু হয়েছে। একদল গবেষকের প্রশ্ন, বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যবিধি আলাদা। আবার ভৌগোলিক চরিত্র অনুযায়ী বয়সের তারতম্য অনুযায়ী করোনার চরিত্রের বদল হচ্ছে, এমন অবস্থায় এই সমীক্ষা কতটা সফল?

সমালোচকদের জন্য ব্যাকম্যানের স্পষ্ট জবাব, এই সমীক্ষা শেষ কথা তা বলার সময় আসেনি। কারণ, স্বাস্থ্যবিধিতে উত্তর ইতালি বিশ্বসেরা। কিন্তু ওই অংশের কিছু বাসিন্দার মধ্যে ভিটামিন ডি বেশি থাকায় তাদের কোভিড কাবু করতেই পারেনি। আবার অন্য একটি অংশের নাগরিকদের মধ্যে ভিটামিন ডি কম থাকায় তারা নির্বিচারে সংক্রমিত হয়েছেন।

ব্যাকম্যান এবং তার সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ, ভিটামিন ডি’র সঙ্গে মানবদেহে সাইটোকাইন ঝড়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের কর্মকর্তা ডাঃ প্রতীপ কুণ্ডু বলেন, ‘অনেকটা ভাড়াটে গুন্ডার মতো সব কোষ ধ্বংস করে এই সাইটোকাইন ঝড়। ফুসফুস, শ্বাসনালিতে তীব্র প্রদাহ হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। রক্ত জমাট বাঁধে।

অন্যদিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস মনে করেন, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি থাকে তাদের এই সমস্যা হয় না। তাই শিশুদের রোদে কিছুক্ষণ রাখলে সর্দি-জ্বরের সমস্যা অনেকটাই কমে।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া