আই্এনবি ডেস্ক: ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে যখন আতঙ্ক তখন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, ওমিক্রন হলো করোনা শেষের ইঙ্গিত। নেটকেয়ার গ্রুপের সিইও ফ্রিডল্যান্ড এমন মন্তব্য করেছেন, যিনি ৫০টিরও বেশি হাসপাতাল পরিচালনা করেন।
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক দেশ এরইমধ্যে সীমান্তে কড়াকড়ি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো, ইসওয়াতিনি, মালাউই এবং মোজাম্বিকের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। অনেক দেশে টিকাগ্রহণকারীদেরও সীমান্তে যাওয়ার আসার বিষয়ে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
করোনার চতুর্থ তরঙ্গের মধ্য অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের তিনটি ওয়েভে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ফ্রিডল্যান্ড বলছেন, ওই ভয়ংকর পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘যদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় তরঙ্গের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো তাহলে ওই সময়ের মতো হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ত। সুতরাং আমি মনে করি, এখানে একটি রূপালী আস্তরণ তৈরি হয়েছে যা করোনা সমাপ্তির সংকেত হতে পারে। নতুন ধরণটি গুরুতর মনে হলেও তা গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না। স্প্যানিশ ফ্লুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।’
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে আনুমানিক আড়াই থেকে পাঁচ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলো। ১৯২০ সালের মধ্যে এটি কম মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত ফ্লুতে রুপ নেয়।
ফ্রিডল্যান্ড বলেন,‘ আমরা দেখতে পাচ্ছি টিকা নেওয়া মানুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তবে সে সংক্রমণগুলো দেখছি তা হালকা থেকে মাঝারি।’ তিনি বলেন,‘যদি আমরা এমন একটি ভ্যারিয়েন্ট পায় যা ডেল্টাকে ছাড়িয়ে যায় এবং যা গুরুতর অসুস্থতার কারণ না হয় তাহলে আমরা একে ওই স্প্যানিশ ফ্লুর সাথে তুলনা করতে পারি। ওই ফ্লুর ক্ষেত্রে আমরা একই দেখেছি।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ ইমিউনোলজিস্ট শাবির মাধী ফ্রিডল্যান্ডের সাথে একমত। তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার কথা থাকলেও রোগীর সংখ্যা কম। বেশিরভাগ ওমিক্রন রোগীর লক্ষণ মৃদু। কালেরকন্ঠ
আইএনবি/বিভূঁইয়া