আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জানা যায়, শুক্রবার যুক্তরাজ্যে পুলিশ একটি কন্টেইনারবাহী লরি থেকে ৩৯ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশ জানায়, যুক্তরাজ্যের ওয়ারিংটন থেকে দুইজনকে এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) উত্তর-পূর্ব লন্ডনের এসেক্সে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির কন্টেইনার থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও আট জন নারী। তাঁরা সকলেই চীনা নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও সকলের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। আটক ট্রাকটি বুলগেরিয়া থেকে এসেছিল। ২০১৭-এ বুলগেরিয়ায় ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন করা থাকলেও এটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেই ব্যবহার হত। ২৩ অক্টোবর রাত ১টার কিছু পরে ব্রিটেনের পারফ্লিট বন্দর থেকে ট্রাকটি বেরোয়। রাত ১টা ৪০ নাগাদ ওয়াটারগ্লেড এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হওয়ার খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। গ্রেফতার হয় চালক মো রবিনসন। পুলিশ জানিয়েছে সে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। তাকে জেরার পর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী পুলিশ। সেগুলির একটিতে রবিনসনের বাবা-মা থাকতেন।
একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মরদেহের মধ্যে তিন জন ভিয়েতনামের নাগরিক হতে পারেন। তাদের পরিবারের এক সদস্য জানান, মঙ্গলবার রাতে মোবাইলে একটি মেসেজ আসে যেখানে লেখা, ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফাম ট্রা নামে ওই নারীকে ব্রিটেনে পাঠানোর জন্য পাচারকারীদের হাতে তাঁরা ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে জানান তার এক আত্মীয়।
আইএনবি/বিভূঁইয়া