গেল মাসে ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কাতে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যাট হাতে সেখানেও পারফরম্যান্স দিয়ে জবাব দিতে পারেননি টাইগার এই অলরাউন্ডার। তিন ইনিংসে ব্যাট করে করে দুইবার ৪০ পেরোলেও, পারেননি ফিফটি তুলে নিতে। সবমিলিয়ে করেছিলেন ৩১.৬৬ গড়ে ৯৫ রান। বল হাতে ওভারপ্রতি ৬.৮৩ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট।
লঙ্কায় এমন পারফর্ম করেও অবশ্য ৩২ ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়ানো ফিটনেস ক্যাম্পে জায়গা পান সৌম্য। এরপরই শুরু হয় অনেক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকের ধারণা ছিল প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহের প্রিয় ছাত্র হওয়ায় দলে সুযোগ পাবেন সৌম্য। তবে শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের অতিরিক্ত তিন ক্রিকেটারসহ ২০ জনের দলেও জায়গা হলো না তার।
তবে সৌম্যর দলে ফেরা নিয়ে নির্বাচকরা কোনো আলোচনায় করেননি বলে দাবি করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল শনিবার দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যকে নিয়ে নান্নু জানার তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও এশিয়া কাপে তাকে নিয়ে কথা হয়নি।
নান্নুর ভাষ্যে, ‘সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটটা তার যথেষ্ট খারাপ গিয়েছে, এজন্য ইমার্জিং কাপে আমরা দেখেছিলাম। দেখেছি সৌম্য ফিরে আসতে পারে কিনা। কিন্তু এশিয়া কাপে ওকে নিয়ে কোনো আলোচনাই করিনি।’
এর আগে গেল মার্চে দ্বিতীয় দফায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে আসার পর থেকেই সৌম্যের দলে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে টাইগারদের এই প্রধান কোচের নজরে থাকায় সৌম্যকে আলাদা করে ট্রেনিং করানোর দৃশ্য। তবে কোথাও আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারছিলেন না এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এমনকি সর্বশষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএলে) ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সৌম্য। মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও পুরো লিগে ১১ ইনিংসে ২৬.৬৩ গড়ে সংগ্রহ করেন মোটে ২৯৩ রান। স্ট্রাইক রেট ৮৩.৬৩। যা তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের (৮৭.৫০) চেয়ে কম।
এসআর/ডেেএইচ