বেথুয়া শাক কিডনি ভালো রাখে

স্বাস্থ্য ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এর অন্যতম কারণ হলো কিডনি আক্রান্ত হয়ে বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার পর অনেকে তা টের পান। কিডনি রোগ বর্তমানে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ডায়বেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি রোগের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

গ্রাম বাংলা মাঠে-ঘাটে পুকুর পাড়ে পথের ধারে গজিয়ে উঠে বেথুয়া শাক। এটি আঞ্চলিকভাবে বিভিন্ন নামে পরিচিত বেথুয়া বা বেথো শাক। এটি কেউ চাষ করে না। তবে সংগ্রহ করা শাক বাজারে আঁটি বেঁধে বিক্রি হয়। বেথুয়া শাক শীতকালে ফসলের ক্ষেতে প্রচুর পরিমালে পাওয়া যায়। এ শাকের গড় উচ্চতা ২-৩ ফুট। এটি বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এর গাছের পাতার রং ফ্যাকাসে সবুজ। কাণ্ডে উঁচু শিরা ও বেগুনি রেখা দেখা যায়। এর ইংরেজি নাম-white goosefoot (হোয়াইট গ্রোসফুট) এবং বৈজ্ঞানিক নাম- chenopodium album (ছেনোপোডিয়াম অ্যালবাম)।

বেথুয়া শাকের পুষ্টিগুণ

বেথুয়ার শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংক।

বেথুয়া ওষুধি গুণাগুণ

বেথুয়ার শাক বিভিন্ন রোগ সাড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক হজম শক্তি উন্নত করে খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের পীড়া ও পেট ব্যাথায় কার্যকর এ শাক।

কিডনিতে পাথর হলে বেথুয়ার শাকের জুস খুব উপকারী। একগ্লাস পানিতে বেথুয়ার শাক ও এক চা-চামচ চিনির রস মিশিয়ে শরবত তৈরি করে টানা ১০ দিন খেতে হবে। এতে কিডনির পাথর গলে বের হয়ে যাবে। এছাড়াও ত্বকের শ্বেত জাতীয় রোগ নিরাময়েও কাজ করে। প্রস্রাবে জ্বালা পোড়াও দূর করে এইশাক। আগুনে ঝলসে গেলে এই শাক বেটে দগ্ধ জায়গায় লাগালে জ্বালা-পোড়া কমে যাবে। যাদের মুখে ঘা আছে, সেই ঘা তাড়াতে খেতে পারেন এই শাক।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া