নিজস্ব সংবাদদাতা
গত ১৬ জানুয়ারি শরীয়াতপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ আসনে মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পান্না খান। ফলাফলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রথমে পান্না খানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে প্রভাবশালী লোকদের প্ররোচনায় তাকে ফেল বলে ঘোষণা করেন। পান্না খানকে বিজয়ী ঘোষণার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতপত্র পাঠ করে এমনটাই বললেন পান্না খান। এসময় জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পান্না খান বলেন, ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে আমাকে ২ হাজার ৬৭৪ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। আমার প্রতীক ছিল “চশমা”। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জবা ফুল প্রতীক ইমু আক্তার এক হাজার ৭৯৩ ভোট পেয়েছে বলে ঘোষনা দেন তিনি। পরবর্তীতে ইমু আক্তারসহ তার প্রভাবশালী লোকদের প্ররোচনায় পরে নির্বাচন কর্মকর্তা আমাকে ফেল করিয়ে দেন। বিজয়ী ঘোষণা করেন ইমু আক্তারকে। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাৎক্ষণিক আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনের ফলাফল শীট চাই। কিন্তু তিনি আমাকে ফলাফল শীট দেননি। পরবর্তী সময়ে তিনি আমাকে এবং আমার লোকজনকে অফিস থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, ইমু আক্তারের বাহিনী দ্বারা আমার এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে এজেন্টদের কোন ফলাফল নোট দেওয়া হয়নি।
পান্না আরও বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী খান আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ছিলেন। আমিও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমি বিজয় ফিরে পেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমার কাম্য। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, এখানে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আকলিমা তালুকদার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৩১১ ভোট, ইমু আক্তার জবা ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৭৯৩ ভোট, পান্না খান চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৪ ভোট ও রহিমা বেগম অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৫৫২ ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখিনি। ভিডিওতে ভুল হতে পারে। আমাদের সীট আছে, সেখানে ভুল নেই। প্রার্থী এসে আমার কাছ থেকে প্রয়োজনে সিট নিয়ে দেখতে পারে।