নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্প উদ্বোধনকালে ‘আজকের দিনটি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সরকারের এই উদ্যোগ। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে মানুষের কর্মজীবন পরবর্তী জীবন সুরক্ষিত হবে।’
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চারটি ভিন্ন শ্রেণির লোকদের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে চার ধরনের স্কিম চালু করা হবে। এগুলোর নাম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী।
এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকেরা এর আওতায় আসবে যখন তারা ৬০ বছর পরে পেনশন পেতে শুরু করবে। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তবে এখন ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টানা ১০ বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পরে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন।