এমডি বাবুল ভূঁইয়া: আমি কিছুদিন আগে থানায় গিয়েছিলাম একটি বিশেষ কাজে। সেখানে আমি ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলছিলাম। এমন সময় দেখলাম হিজাব পরা একটি সুন্দরি মেয়ে সাথে একজন পুরুষ ঢুকল সেই রুমে।
-ডিউটি অফিসার মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল আপনাদের সমস্যাটি কি?
-মেয়েটি বললো গত কয়েক মাস যাবত আমার স্বামীর সাথে আমার বনা-বনতি হচ্ছে না। আমার মনে হয় ও অন্য কোন মেয়ের প্রতি আসক্ত। এছাড়া ও ইদানীং আমার সাথে প্রচুর খারাপ ব্যবহার করছে । আমার কেন জানি মনে হয় ও নেশাও করে, ও কেমন জানি বদলে গেছে আমাকে একদম সহ্য করতে পারেনা।
-মেয়েটির সব কথা শুনে পুলিশ অফিসার বললো, তো আমাদের কাছে এসেছেন কেন?
-মেয়েটি বললো, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করতে চাই। একই সাথে আপনি আমার স্বামীকে ফোন করে ভালোমত হুমকি দিয়ে দেন যেন সে আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে ।
-পুলিশ অফিসার বললো, দেখুন আপনাদের এই পারিবারিক সমস্যার জন্য প্রথমে আপনারা পারিবারিকভাবে মুরুব্বিদের মাধ্যমে আলোচনা করুন। তাছাড়া পারিবারিক টুকটাক সমস্যার জন্য থানায় আসতে হয় না, এতে আপনার সংসারের অশান্তি আরো বাড়বে। জীবন মানেই একজন অন্যজনকে একটু ছাড় দেওয়া একটু সময় দেওয়া, দেখবেন কিছুদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
-তখন মেয়ের সাথে আসা পাশের ছেলেটি বললো, “আরে ওর স্বামী অনেক খারাপ, সবসময় ওকে সন্দেহ করে আর গালমন্দ করে ……… ” আপনি প্লিজ একটা কিছু করেন।
-এমন সময় পুলিশ অফিসার ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি এই মেয়ের কি হন?
-ছেলেটি বললো, আমি ওর অফিসের কলিগ।
-তখন পুলিশ অফিসার একটু হেসে বললো, ও তাই! তো আপনি উনাদের ফ্যমিলির বিষয়ে এতো আগ্রহী কেন জানতে পারি?
-ছেলেটি বললো, ও আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ও সহকর্মী এই জন্য।
সেখানে আরো অনেক কথা হল। এরপর পুলিশ বাধ্য হয়ে মেয়েটির জিডি গ্রহণ করল। এর পর মেয়েটি ও তার প্রিয় কলিগ থানা থেকে চলে গেল।
উনারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ অফিসার আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “আমি আমার চাকরীর জীবনে একটি বিষয় দেখেছি, যদি কারো স্ত্রী চাকরী করে অথবা স্বামীর থেকে বেশি উপার্জন করে তাহলে উক্ত ফ্যমিলিগুলো খুব একটা টিকতে পারে না, কারণ কি জানেন?
কারণ হলো এই মেয়েটির যে সমস্যা তা সমাধান করা উচিত ছিল ওনাদের পরিবারের মুরুব্বীদের মাধ্যমে। আর এখন তা না হয়ে এই ধরনের সুবিধাবাধি কলিগদের কুপরামর্শের জন্য মেয়েরা পারিবারিক সামান্য সমস্যা নিয়েও চলে আসে থানাতে !!!! তাছাড়া এর পাশাপাশি মেয়েদের পরিবারে লোকদের আশকারা থাকে। তাতে থানা পর্যন্ত আসতে তারা সাহস পান। যদি পরিবার থেকেও সঠিক শাসন পেতো তাহলে এ সকল মেয়েরা দাম্পত্য বিষয় নিয়ে থানায় আশার সাহস পেতো না। শেষ কথা হলো একটা মেয়ের দাম্পত্য জীবন বা সংসার ভাঙ্গার পিছনে বেশির ভাগ দায়ী থাকেন তার পরিবারের লোকজন।
আর একবার যদি কোন পারিবারিক বিষয় থানা পর্যন্ত আসে সে পরিবার টিকা খুব মুশকিল হয়ে যায়। আমাদের সমাজে মেয়েরা সবাই খারাপ না, খারাপ হল এদের পাশে থাকা কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। যারা নিজেদের সুবিধা আদায় করার জন্য একটি পরিবার নষ্ট করে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না।