নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই রায়ে প্রমাণিত হলো, অপরাধী যেই হোক না কেন, সাজা পেতেই হবে। যারা বর্বর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত, রায়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হয়েছে। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণকে আমরা এ বার্তা দিতে চাই, যে যত ক্ষমতাধর হোক না কেন, শেখ হাসিনার সরকার বিচার করবেই। শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। শেখ হাসিনার সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বিচার পাওয়ার সংস্কৃতিতে এ জাতিকে ফিরিয়ে এনেছে।
আনিসুল হক বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতি দ্রুততম সময়ের মাধ্যমে নুসরাত হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও তড়িৎগতিতে সম্পন্ন হবে। নুসরাত হত্যা গুরুত্বপূর্ণ মামলা, গুরুত্বসহকারে শেষ করেছেন প্রসিকিউশন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করার দৃষ্টান্ত হলো এই রায়। নুসরাত হত্যার রায় উচ্চ আদালতে এলে এবং আসামিদের ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ফলে হাইকোর্টেও মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বহাল থাকবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বিচারক মনে করেছেন, সবাই সমান অপরাধী, তাই ফাঁসির রায় দিয়েছেন। রায়ের সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে কাগজপত্র আসবে। কাগজপত্র এলে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা রাখি।
সড়ক পরিবহন আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন আইন কার্যকর হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। বর্তমান আইনে চালকের লাইসেন্স পাওয়ার ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যুগোপযোগী আইন করা হয়েছে।
সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে, তা জানা নেই। তবে এ মামলার তদন্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই।