দীর্ঘদিন ধরেই কোমরের সমস্যায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল । মেরুদণ্ডের কোমরের দিকের অংশে তার সমস্যা। তিনি এটি প্রথমবার অনুভব করেন ২০২২ সালের শেষ দিকে। তখন বিসিবির মেডিকেল ও চিকিৎসা বিভাগকে জানিয়েছিলেন তামিম।
সদ্যই লন্ডনে আবার এই সমস্যারই চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্বীকার করেই নিয়েছেন, যথাযথ চিকিৎসা হয়নি তামিমের।
পাপন কীভাবে তামিমের এই চোটের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন সেটিই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, তামিম কিন্তু ঢাকা থেকে এমআরই, স্ক্যান করেছে। আমার জানা মতে ভারতে, ব্যাংককে করেছে। নিজ থেকে লন্ডনে করিয়েছে। ওর অনেকবারই করা হয়েছে। এবার প্রথম দুবাই থেকে সে একটা রিপোর্ট পাঠিয়েছে আমাকে। ওই রিপোর্টে প্রথম আমি দেখি ওর একটা সমস্যা আছে। প্রথমেই ওকে বলেছি, তুমি দেবাশীষসহ আমাকে তিনজন এক সঙ্গে কনফারেন্স করে বলো, আমাকে কেন এটা বলা হলো না?’
পাপনের পাশে বসে থাকা তামিম যোগ করলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বরে আমার সমস্যাটা পাপন ভাইকে জানিয়েছিলাম। আমি আগে কখনো রিপোর্ট পাপন ভাইকে পাঠাইনি। যখন প্রথম পাঠাই, তখন তিনি জানতে চাইলেন, আমাকে আগে কেন জানানো হয়নি? এটা নিয়ে আজ অনেক আলোচনা করেছি। এটা আর কারও সঙ্গে হওয়া উচিত না।’
পাপন এখানে বেশ অবাকই হয়েছেন বললেন, ‘আমার তো মেজাজই গরম হয়ে গেল ওর কাছ থেকে রিপোর্ট দেখার পর। এই ব্যাপারটা আরও তদন্ত করে বের করা দরকার। যেভাবে আমাদের উপস্থাপনা করা হয়েছে, বাস্তবতার সঙ্গে পার্থক্য আছে। ভবিষ্যতে যেন এটা আর না হয়, সেটা নিয়ে বসব। ২০২২ সালে যদি এটা হয়ে থাকে,এত দিনে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা, যদি ঠিকঠাক চিকিৎসা হলে। কোনো না কোনা ভাবে এটা নিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। এ কারণে আজ এত দিন পর বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে এসে এটা আমাদের শুনতে হচ্ছে। আগে থেকে শুনলে এমনটা হয়তো হতো না।’
২৫ জুলাই লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যান তামিম। সেখানে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে দুইদিন পর্যবেক্ষণ ছিলেন। পর্যবেক্ষণের পর ভালো বোধ করায় তামিম গত পরশু চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফিরেছেন।
আর আজ নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বিসিবির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম।পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় খেলছেন না এশিয়া কাপেও।
আইএনবি/ এনএ