স্বাস্থ্য ডেস্ক: ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ জ্বর। এই জ্বরের তাপমাত্রা কখনও কখনও ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। ডেঙ্গু হলে কী ধরনের চিকিৎসা নেবেন, বাসায় না হাসপাতালে থাকবেন, নির্ভর করে এর ধরন বা ক্যাটাগরির ওপর। আমাদের দেশে মূলত তিন ক্যাটাগরির ডেঙ্গুর হয়ে থাকে।
ক্যাটাগরি‘ওয়ান’র রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘ওয়ান’ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়াই যথেষ্ট।
ক্যাটাগরি ‘টু’তে আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। তবে কিছু লক্ষণ, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, অন্তঃসত্ত্বা, জন্মগত সমস্যা, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই ভালো।
ক্যাটাগরি ‘থ্রি’র ক্ষেত্রে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আনোয়ারুল ইকবাল মিতু বলেন, আমরা যে যার দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে পালন করি তবে এ ভাইরাস এতো বিস্তার লাভ করতে পারে না। এটি মূলত একটি বিদেশি ভাইরাস। অন্যান্য দেশ ডেঙ্গু খুব সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু আমরা না পারার অন্যতম কারণ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির একই ক্যাটাগরিতে বার বার আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কোনো একটি ক্যাটাগরিতে আক্রান্ত হলে তার শরীরে সেই ক্যাটাগরির অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ওষুধ সেবনে সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্যবিদ আরও বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। জ্বর ও পেশীতে ব্যথার ক্ষেত্রে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি মশলাযুক্ত খাবার পাকস্থলীর দেয়াল নষ্ট করতে পারে। খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। বিশেষ করে ডাবের পানি ও কমলা লেবুর রস পানি শূন্যতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া