ট্যাক্স বৃদ্ধির জেরে কেনিয়ার পার্লামেন্টে হামলা, বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে একটি আর্থিক প্রস্তাব পাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে কেনিয়া। দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।

পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৩ জন নিহত বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

নাইরোবির দুটি সরকারি হাসপাতাল আহতদের ভিড়ে উপচে পড়েছে। এদিকে সংসদ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য নিয়ে গেছেন। এর ফলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ঘটেছে। বিক্ষোভের সময় সংসদ সদস্যদের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কয়েকটি ধাক্কায় জর্জরিত কেনিয়ার অর্থনীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে কেনিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকার ঋণের বোঝা কমাতে কর অতিরিক্ত ২৭০ কোটি ডলারের বেশি বাড়ানোর বিল অনুমোদন করেছে। মূল্যস্ফীতির মধ্যেই সরকার কর বৃদ্ধির আইন করায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ চান। এই দাবিতে এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভ শুরু হয়। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি ছাড়া দেশটির অন্যান্য বড় ও ছোট শহরেও বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে সহিংসতা ও নির্বিচারে আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বিক্ষোভে হতাহতের খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবও অত্যন্ত দুঃখিত। নির্বিচারে আটকের ঘটনা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।

এমন পরিস্থিতিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনও প্রচেষ্টা ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই বিক্ষোভকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

আইএনবি/বিভূঁইয়া