চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ’ রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ বিক্রেতার হাঁকডাক শুনে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ‘তিন কেজি একশ’। এক দাম এক রেট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরবরাহ বেশি হওয়ায় পাইকারিতে কমছে পেঁয়াজের দাম। তার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়ছে খুচরায়। মূলত সারা বছর ভারত থেকে সড়কপথেই সিংহভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় দেশে। মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসে। সংকটের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্রপথে আসা বাহারি সব পেঁয়াজের দেখা মেলে। এখন বাংলাদেশের মেহেরপুরি পেঁয়াজের সরবরাহ ও বিক্রি বেশি আড়তে। তবে পচনশীল কাঁচাপণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন রাখা যায় না আড়ত বা গুদামে। তাই সরবরাহের ওপরই দাম নির্ভর করে। সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে, সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স কামাল উদ্দিন ব্রাদার্স নামের আড়তের নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে বলেন, ভারতের নাসিক ও কানপুরি পেঁয়াজ আড়তে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৫-২৯ টাকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২৫-২৭ টাকা। দেশি মেহেরপুরি পেঁয়াজ ১৭-২০ টাকা। তবে চট্টগ্রামের মানুষ ভারত ও মিয়ানমারের বেশি ঝাঁজের পেঁয়াজই বেশি পছন্দ করেন। আমদানি, সরবরাহ, সড়কপথ স্বাভাবিক থাকলে এবার রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
খুচরা দোকানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকা।
আইএনবি/বিভূঁইয়া