স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইদানীং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি বয়স ৩০-এর কোঠাতেই হৃদরোগের কারণে প্রাণ চলে যাচ্ছে অনেকের। মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা, অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যেই নিহিত থাকে হৃদ্রোগের কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। কোনো কোনো অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?
১) পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় কারণ। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। তাই রাত জেগে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ না দেখে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়াই ভালো। প্রাত্যহিক ক্লান্তি থেকে শরীরকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
২) ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খান। মনে রাখা দরকার, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। এসব রোগ থাকলে রোগীর বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
৩) অনেকেই সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। কিন্তু অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চার ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। কভিড বা অন্য কোনো রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পর শরীরচর্চা শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। আচমকা চাপে শরীর যেন অপ্রস্তুত না হয়। অপরিকল্পিত শরীরচর্চায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনাও ইদানীং শোনা যাচ্ছে।
৪) হৃদযন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকানো যেতে পারে হৃদরোগ। বুকে ব্যথা বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলোকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে নিয়মিত হৃদযন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা করা অবশ্যই দরকার।
৫) দ্রুত মেদ ঝরাতে কিংবা পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড বা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। এসব সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই কোনো পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। এগুলোও কিন্তু অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আইএনবি/বিভূঁইয়া