করোনা ভাইরাস ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (হয়তোবা)

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯১৪ সালে জার্মানী প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে নিতান্তই ঠুনকো অজুহাতে। ১৯১৮ সালে জার্মানির পরাজয়ের পর ইউরোপের দেশগুলো জার্মানীকে দোষী সাব্যাস্ত করে এবং তারা সবাই মিলে জার্মানীকে প্রতি বছর বিপুল পরিমান অর্থ ক্ষতি পূরন দিতে বাধ্য করে। ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় আসার পর সেই ক্ষতি পূরন দিতে অস্বীকার করে এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে। এর পরের ঘটনা সবার জানা। ১৯৩৯ সালে জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে।

করোনা ভাইরাসের দ্বারা পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যেই পর্যুদস্ত। বর্তমানে যত মানুষ আক্রান্ত হোক বা মারা যাক না কেন , অর্থনীতিতে এর প্রভাব ভয়াবহ। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি ইতোমধ্যেই ধ্বসে পড়েছে। যার ফলাফল কোটি কোটি মানুষ বেকার। এই অবস্থা থেকে খুব তাড়াতাড়ি তারা উত্তোরন ঘটাবে , সেটা সম্ভব না। কতদিন লাগবে সেটাও অনিশ্চিত।

এখন করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমন ঘটানোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যেই চীনকে দায়ী করে ফেলেছে। তারা মনে করে চীন কৃত্রিম মিউটেশন ঘটিয়ে এই ভাইরাস তৈরী করে ছেড়ে দিয়েছে পশ্চিমা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার অপচেষ্টায়। যদি এ অভিযোগ সত্যি নাও হয় , তাহলেও চীন এই করোনা ভাইরাসের মহামারীর জন্যে দায়ী। কারন প্রথম দিকে চীনের অভ্যন্তরে এই ভাইরাস মহামারির আকারে ছড়াচ্ছিল , তখন তারা সেই তথ্য গোপন করে যায়। ইতোমধ্যেই চীনাদের মাধ্যমে দুনিয়ার সব দেশেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার ১৪ দিন পর লক্ষন প্রকাশ করে বলে সেটা বোঝা যায় নি। সুতরাং সব দিক দিয়েই চীন এই করোনা মহামারীর জন্যে দায়ী। ফলাফল পশ্চিমা দেশগুলোতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হয়ে গেলে পশ্চিমা দেশগুলো এই ইসুতে এক জোট হবে নিশ্চিত। আর তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানীর যে অবস্থা হয়েছিল তার পূনরাবৃত্তি ঘটবে এর সম্ভাবনা প্রবল। সব দেশ মিলে চীনকে ক্ষতি পূরন দিতে বাধ্য করতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর তখন বিপুল সামরিক শক্তির অধিকারী চীন এমন কিছু আচরন করতে পারে , যার ফলে শুরু হয়ে যেতে পারে বিশ্বযুদ্ধ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
অনুলেখকঃ মোঃ বিল্লাল হোসেন বিজয়
লেখক-কবি,গবেষক-বিশ্লেষক ও আইনজীবি

আইএনবি/বিভূঁইয়া