করোনায় পোশাক খাতে ক্ষতি ২.৬৮ বিলিয়ন ডলার

আইএনবি নিউজ:বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যেরও বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে ।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ৮২৮ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন পোশাক পণ্যের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বার্তা২৪.কমকে এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশে ৯৯৬টি কারখানার ৮২৮ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন পোশাক পণ্যের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানায় ১৯ লাখ ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন।

এদিকে উদ্ভূত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের সাতটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।

এছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের ১৮ মার্চে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চে কমেছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। তার আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ রফতানি কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।

বিজিএমইএ’র নেতারা বলছেন, আর্থিক সংকটের কারণে কিছুদিনের মধ্যে অন্তত এক হাজার পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের ক্ষেত্রে মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

তিনি বলেন, রফতানিমুখী পোশাক কারখানা মালিকদের প্রতি মাসে শ্রমিকের মজুরি বাবদ চার হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা নিয়েছি। রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া