নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ও গুণিজন সংবর্ধনা-২০২৩ অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে কবি ও বহুমাত্রিক লেখক ড. এস এম শাহনূরের ৪৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে কেক কাটার মাধ্যমে কবির জন্মদিন পালন করা হয়।
১ম পর্বে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কে এম সফর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংগঠক অধ্যাপক ইউনুস মোল্লা (কলকাতা) প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, এস এম আশিক বিল্লাহ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বিশেষ আলোচক ছিলেন, কবি ও ছড়াকার ফারুক জাহাঙ্গীর, স্বাগতম বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সভাপতি কবি ও ছড়াকার নুরুল হুদা নূরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ আনন্দ দাশ, কবি ও ছড়াকার আতিক হেলালসহ আরো অনেকেই।
২য় পর্বে কবি ও সংগঠক মোহাম্মদ আলমগীর জুয়েল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও ছড়াকার আসলাম সানী। প্রধান আলোচক ছিলেন, লেখক, সংগীতজ্ঞ ও গবেষক, প্রাকৃতজ শামীমরুমি টিটন, বিশেষ আলোচক ছিলেন, কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাসুম মহতাদী।
২য় পর্বের শুরুতে মূল মঞ্চে সমবেত সকল অতিথিরা
স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তারুণ্যের কবিখ্যাত,লেখক, প্রাবন্ধিক ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক ড. এস এম শাহনূরকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখেন। তখন মাইকে জন্মদিনের গান পরিবেশন করা হয়।
তিনি ১৯৭৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন বল্লভপুর গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অলিখিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর কলম চলে অবিরাম। সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্যাঙ্গনেও আজ এক পরিচিত নাম এস এম শাহনূর। শিশু অধিকার বিষয়ক কবিতা ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব মিলফোর্ড তাঁকে সাহিত্যে সম্মান সূচক ডক্টরেট (ডি লীট ডিগ্রি) প্রদান করেন। তাঁর এ অসামান্য অর্জন বাংলা সাহিত্য ও বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের অধ্যায়। দেশ বিদেশের নানান পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিতভাবে তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্বের ৩০ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর সৃষ্টি কর্ম। এমন সৃষ্টিশীল লেখকের জন্য তাঁর পিতা মাতা,শিক্ষক মহল ধন্য।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও সংগঠক টিপু রহমান, মোসলেহ উদ্দিন, ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকী, তাহেরা খাতুন, ইশতিয়াক আহমেদ, মুহাম্মদ আমির হোসেন, মোঃ বেল্লাল হাওলাদার, জহিরুল হক বিদ্যুৎ, আব্দুল হাকিমসহ আরো অনেকেই।
কবি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কবি ও লেখকগণের জীবন মান উন্নয়নের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রাখেন।।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, বাচিকশিল্পী জাহানারা রেখা ও শ্রাবন।