আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ১৪ মাস ধরে চলা লেবাননের এই সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানান। তবে তিনি বলেছেন, কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল সামরিক পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ তাদের ভারী অস্ত্র লিতানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নেবে। লেবানন সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করবে।
যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি স্থায়ী শান্তির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন বলেন, হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য অস্ত্রধারী সংগঠন ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে আর হুমকি দিতে পারবে না।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের হামলা এবং হিজবুল্লাহর পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তবে চুক্তি কার্যকরের পর উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে।
লেবাননের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার এ প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হয়, তা আগামী দিনগুলোতে পরিষ্কার হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া