যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের বিশেষায়িত বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ইরানকে যদি কোনো দেশ আক্রমণ করে, সেদেশকেই ‘মূল রণক্ষেত্র’ বানিয়ে ফেলা হবে। প্রভাবশালী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, যারা ইয়েমেনের নিরপরাধ মানুষ হত্যার ব্যাপারে নীরব থাকে, তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তাদের সরব হয়ে ওঠার ঘটনায় বোঝা যায়, তাদের কাছে রক্তের চেয়ে তেলের মূল্য অনেক বেশি। দুই তেল স্থাপনায় ইয়েমেনি হামলার পর তার সমালোচনা করে পশ্চিমা দেশগুলো যেসব বক্তব্য দিয়েছে; তার সমালোচনা করে নাসরুল্লাহ এই মন্তব্য করেন। তিনি হুঁশিয়ার করেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ালে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাসরুল্লাহ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ইরানবিরোধী যুদ্ধের পাঁয়তারা করার অভিযোগ আনেন। রিয়াদ ও আবুধাবির উদ্দেশে তিনি বলেন, হুথিদের একটি হামলায় সৌদি তেল স্থাপনার যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা থেকে একথা অনুমান করা যায় যে, ইরান হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি কতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তিনি আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।