সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিনিটের মতো। তাতেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার আলগা চিত্র ফুটে উঠেছে। মাঠ পরিচর্যা, পরিদর্শন আর আলাপ মিলিয়ে ঘণ্টাখানের পরে তিন ওভার কমিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। তাতে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। ১১৬ রানে আটকে যায় তারা। বৃষ্টি আইনে ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। আফগানদের বিপক্ষে ঘরে তুলেছে প্রথম টি-২০ সিরিজ।
সফরকারীরা ৭ উইকেটে ১১৬ রান করলেও বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ১৭ ওভারে ১১৯ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। এরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ওই চাপ সামাল দিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন সাকিব-তাওহীদ হৃদয়রা।
ব্যাট হাতে লিটন দাস ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চারের শট আসে। শুরুতে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও পরে ধীরে খেলেন তিনি। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া আফিফ হোসেন খেলেন ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানের ইনিংস। এরপর নাজমুল শান্ত ৪ রান করে বোল্ড হন।
পরে তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান জুটি গড়েন। প্রথম ম্যাচ জয়ের নায়ক হৃদয় ১৭ বল খেলে একটি করে চার ও ছক্কার শটে ১৯ রান করে ফিরে যান। তরুণ শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে সাকিব আল হাসান ম্যাচ শেষ করে ওঠেন। পাঁচ বল থাকতে দলকে জেতানোর পথে সাকিব ১১ বলে একটি করে চার ও ছক্কার শটে ১৮ রান করেন। শামীম ৭ রান যোগ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুই ওপেনারকে হারায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৮) ও হযরতুল্লাহ জাজাই (৪) ব্যর্থ হয়ে তাসকিনের বলে ফিরে যান।
বৃষ্টির পর আরও তিন উইকেট হারায় তারা। ১১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তোলে সফরকারীরা। ওই ধাক্কা সামলে লড়াই করার পুঁজি পায় পেস অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই (২১ বলে ২৫ রান) ও করিম জানাতের (১৫ বলে ২০ রান) ব্যাটে। এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ২২ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। স্পিনার নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন। পেসার হাসান মাহমুদ ৩ ওভারে দেন ২০ রান। সাকিব ৩ ওভার বোলিং করে ১৫ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।
আইএনবি