বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে নিত্যপণ্যটি কম দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আজ সোমবার থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হবে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টিসিবির আমদানি করা তুরস্কের পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। আজ থেকে ট্রাকসেলে পেঁয়াজের বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
টিসিবি মুখপাত্র জানান, গাড়িপ্রতি ৭০০ কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
দেশের বাজারে গত কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের দাম লাগামহীন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নিত্যপণ্যটির দাম। ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। হঠাৎ পেঁয়াজের এই দাম বাড়ার কারণ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এই কারণে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মাধ্যমে নিত্যপণ্যটি নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে তুরস্কের পেঁয়াজের সঙ্গে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টিসিবি জানিয়েছে, করোনাকাল ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি কার্যক্রম গত বুধবার থেকে চলমান রেখেছে টিসিবি। সারাদেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় চারশ থেকে সাড়ে চারশ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে। এ কার্যক্রম আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে শুধু শুক্রবার ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে।
টিসিবি বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার।
এক্ষেত্রে প্রতি ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, মসুর ডাল ও তেল এবং পেঁয়াজ কিনতে পারছেন চার কেজি করে।