অনলাইনে বিশ্বে নারী হয়রানির শিকার প্রতি ৫ জনে একজনের বেশি

প্রযুক্তি ডেস্কঃ অনলাইনে হয়রানির শিকার বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তিনি বলেন, পাঁচজনে একজনের বেশি নারীরাই হয়রানী স্বীকার। হোয়াট ওয়ার্কস টু প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড গার্লস গ্লোবাল প্রোগ্রাম নামের সংস্থাটি এ গবেষণা কাজে অ্যামেনেস্টিকে সাহায্য করেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে মেয়েরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশি। আট হাজারের বেশি নারীকে রেখে গবেষণা করে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগী জানান, তারা যৌনতা সংক্রান্ত প্রস্তাব ও পর্ণো ভিডিও লিংক পেয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক আজমিনা ধরদিয়া জানান, ‘নারীদের জন্য ইন্টারনেট ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠছে। নারীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এ জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে কী ধরনের বৈরি আচরণ করা হচ্ছে।’

মালয়েশিয়ার সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ পার্টির একজন নির্বাহী সদস্য ডায়ানা সোফিয়া। তাকে নিয়ে স্থানীয় সাইটগুলোতে বিভিন্ন আলোচনা হয়, অনেক ‘গসিপ নিউজ’ও হয়েছে তাঁকে নিয়ে,তাঁর পোশাক নিয়ে।’ হোয়াট ওয়ার্কস টু প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড গার্লস গ্লোবাল প্রোগ্রামের পরিচালক র‌্যাচেল জিউকস বলেন,‘মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে এধরণের নির্যাতন বাড়ছে।

সোফিয়া এ ব্যাপারে গতবছর বিবিসিকে বলেছেন,‘তাঁকে যেসব আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তাঁর পুরুষ সহকর্মীদের এরকম কোনো ঘটনার মুখে পড়তে হয় না।নারীর শরীরটা যেন একটা যুদ্ধক্ষেত্র।’

অন্যদিকে টুইটার ব্যবহারকারী নালিসা আলিয়া আমিন সমকামীদের পক্ষে মন্তব্য করায় অনলাইনে ব্যাপক হয়রানির শিকার হন। গতকাল আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘আর্টিকেল নাইনটিন’র সভা থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশেও বাড়ছে এরকম হয়রানি। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আর্টিকেল নাইনটিন’র সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মিশুক চাকমা জানান, রাজধানী ঢাকায় যেসব নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হন তাদের ৭০ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ঢাকার বাইরের চিত্রও প্রায় একই রকম। яндекс

আইএনবি/বিভূঁইয়া