‘মামলা, গ্রেপ্তারে অস্বস্তি পুলিশ ও প্রশাসনে’

আইএনবি ডেস্ক: ‘মামলা, গ্রেপ্তারে অস্বস্তি পুলিশ ও প্রশাসনে’ আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম,।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা, গ্রেপ্তার, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবশালী দুটি অঙ্গ—প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারে অস্বস্তি বিরাজ করছে।

এর মধ্যেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গুঞ্জন চলছে, বিগত নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের একটি অংশকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কর্মকর্তাদের একপক্ষ মনে করছে, সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ঢালাওভাবে মামলায় আসামি করা ও গ্রেপ্তার সার্বিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে আরেকটি অংশের মত, বিগত সরকারের আমলে যেসব আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা বেশি প্রভাব বিস্তার করেছেন ও দলীয় আবরণে গা ভাসিয়েছেন, তাঁদের বিচারের মুখোমুখি না করলে পুরো প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

তবে তুলনামূলক কম অভিযোগ থাকা উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা ও গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে।

প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘প্রকাশ্যে এসেই হুমকি ও খুনে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করেছেন। একইভাবে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছেন।

অপরাধের পুরোনো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে মতিঝিল, মগবাজার, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় এ প্রবণতা বেশি।

ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসা, দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন, ফুটপাত, বাজার, ঝুট ব্যবসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকাজ থেকে চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের মতো বিভিন্ন খাত থেকে চাঁদা তোলা ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন তারা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। আবার ৫ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রও তাদের কাছে যেতে পারে।

জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত মিরপুরের আব্বাস আলী, তেজগাঁওয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগ এলাকার সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন।

এ ছাড়া ঢাকার অপরাধজগতের আরও দুই নাম খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসুও কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া আত্মগোপনে থাকা কেউ কেউ প্রকাশ্যে এসেছেন। এমনই একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া