পশ্চিম তীরে মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’ এবং ‘আরবদের মৃত্যু’র মতো ঘৃণ্য ও বর্ণবাদী স্লোগান এঁকে মসজিদের সম্মুখভাগ বিকৃত করা হয়েছে।

সালফিত শহরের গভর্নর আব্দাল্লাহ কামিল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বলেন, মারদা গ্রামের বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালানো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার সর্বশেষ ঘটনা।

হিব্রু ভাষায় ঘৃণ্য ও বর্ণবাদী স্লোগান এঁকে মসজিদের সম্মুখভাগ বিকৃত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

এক বিবৃতিতে কামিল বলেন, আজ শুক্রবার ভোরে একদল বসতি স্থাপনকারী মসজিদে হামলা চালিয়ে আগুন লাগায়।

গ্রামের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বসতি স্থাপনকারীরা মসজিদের প্রবেশপথে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এর দেয়ালে হিব্রু স্লোগান লিখে দেয়।

আরেক বাসিন্দা জানান, পুরো কাঠামোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

মারদা গ্রাম কাউন্সিলের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘একদল বসতি স্থাপনকারীর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে মনে করা হয়।

গভর্নর কামিল বলেন, বসতি স্থাপনকারীরা এর আগেও ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায়’ গ্রামে প্রবেশ করেছিল। আশেপাশের অঞ্চলেও একই ধরনের ভাঙচুর ও দেয়ালে স্প্রে করার খবর পাওয়া গেছে।

রামাল্লায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘নির্লজ্জ বর্ণবাদী কাজ’ এবং ‘ইসরায়েলের চরমপন্থী সরকার পরিচালিত জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক উস্কানি প্রচারণার’ প্রতিফলন বলে অভিহিত করেছে।

ইসরায়েলি পুলিশ ও শিন বেত নিরাপত্তা বাহিনী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে দেখছি। অপরাধীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনতে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করব।

আইএনবি/বিভূঁইয়া