দেশে ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিলেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৬৬১ জন

 

স্বাস্থ্য ডেস্ক: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৮১ হাজার ৬৬১ জন করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৮ হাজার ২৯৬ জন, দ্বিতীয় ডোজ ছয় লাখ ৬৮ হাজার ২৮৮ জন ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তিন লাখ ১৫ হাজার ৭৭ জন।

সোমবার (২১মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২১মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে টিকা নেওয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫৯ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৯ কোটি ২৪ লাখ ১১ হাজার ৩৮৪ জন ও বুস্টার ডোজ ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৫ জন নিয়েছেন।

এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশে একদিনে এক কোটি টিকাদান ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডের বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৮ মার্চ। বিশেষ এ কার্যক্রম আগামী ৩০মার্চ পর্যন্ত চলবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় গত ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পেইনের প্রথম ডোজের টিকাদান কার্য়ক্রম সফলভাবে পরিচালিত হয়। প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮বছর বা তদোর্ধ্ব জনগোষ্ঠি যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চারমাস অতিবাহিত হলেও এসএমএস পায়নি কেন্দ্রে গিয়ে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্মুখসারির যোদ্ধা, বয়োজেষ্ঠ্য ও নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রাপ্যতা অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার বা মডার্নার বুস্টার ডোজ দিতে হবে।

১২বছর বা তদোর্ধ্ব জনগোষ্ঠি যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২৮দিন অতিবাহিত হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নেওয়ার দুইমাস পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে।

১২বছর বা তদোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী যারা এখনও ১ম ডোজের টিকা নেয়নি তাদের এ বিশেষ ক্যাম্পইন চলাকালে ১ম ডোজ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডের কার্যক্রমকে সফল করতে হবে।

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।

কোন টিকা কত সংখ্যক দেওয়া হয়েছে:

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন তিন কোটি ৮৪ লাখ তিন হাজার ২২৭ জন। এরমধ্যে দুই কোটি তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৪৬ জন প্রথম ডোজ, এক কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৮ জন দ্বিতীয় ডোজ ও ২৭ লাখ ১৫ হাজার ৭১৩ জন বুস্টার ডোজ নেন।

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ফাইজারের টিকা নেন মোট দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দুই কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার ৬৪৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ এক কোটি ৭৬ লাখ চার হাজার ৯৪৫ জন ও ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬১ জন বুস্টার ডোজ নেন।

সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১০ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৯ জন। এরমধ্যে পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭২২ জন প্রথম ডোজ, চার কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৭৩ জন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেন চার জন।

মডার্নার টিকা নেন ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৯৫ জন। এরমধ্যে ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৯ জন প্রথম ডোজ, ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের টিকা নেন ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৭ জন।

সিনোভ্যাকের টিকা নেন তিন কোটি ২২ লাখ দুই হাজার ৯৪৬ জন। এরমধ্যে দুই কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৬ জন প্রথম ডোজ ও ৫৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৯ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রথম ডোজের টিকা নেন এক লাখ ৯৭ হাজার ২৯৯ জনকে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া