আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের অভিবাসন বাতিলের এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাইরাসটিকে অদৃশ্য শত্রু আখ্যা দিয়ে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমেরিকানদের জন্য চাকরির সুরক্ষা দরকার। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণায় কোন কোন কর্মসূচি আক্রান্ত হবে বা কখন এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, অভিবাসীদের ওপর দমন চালাতে মহামারিকে ব্যবহার করছে মার্কিন সরকার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের। এই মহামারির কারণে গত এক মাসে প্রায় দুই কোটি আমেরিকান কাজ হারিয়েছে বলে দাবি মার্কিন সরকারের।
সোমবার রাতে ট্রাম্পের ঘোষণার আগে হোয়াইট হাউজের তরফে দাবি করা হয়, মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার হয়েছে। পুনরায় সবকিছু খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মানুষের চলাফেরার ওপর আরোপ করা বিধিনিষেধের কারণে মার্কিন অর্থনীতির একাংশ অচল হয়ে পড়েছে।
তবে ট্রাম্পের অভিবাসন বন্ধের ঘোষণায় কারা আক্রান্ত হবেন বা কখন থেকে তা কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। হোয়াইট হাউজের তরফে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সূত্রের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নতুন গ্রিন কার্ড ও কাজের ভিসা না দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হতে পারে। এছাড়া অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং চাকরি করতে কোনও বিদেশির আবেদন বিবেচনা করা নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় দশ লাখ মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বাস করার অনুমতি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অনুমতি প্রাপ্তদের বেশিরভাগই মেক্সিকো, চীন, ভারত, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফিলিপাইন ও কিউবার বাসিন্দা।
আইএনবি/বিভূঁইয়া