প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন একটা ফিলোসফি সামনে এনেছেন, সেটা হলো এলএনজি রেসপনসিবিলিটি। পকেটে পয়সা থাকলেই সেটা খরচ করা যাবে, তা নয়। ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে, যেন সবাই তার উপযোগিতা গ্রহণ করতে পারে। যথেচ্ছ এনার্জি ব্যবহার করে বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়। বহির্বিশ্ব এখন এদিকেই নজর দিচ্ছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সাপ্লাই চেনের সব জায়গায় এনার্জি ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন কৃষিতে যে পানির ব্যবহার করা হয়, সে ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারলে বিদ্যুতের খরচ কমে যাবে। এছাড়া পরিবহন খাতেও এনার্জির ব্যবহার কমানো সম্ভব। আবাসিক গ্রাহকরা যদি গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন, তাহলেও কিন্তু এনার্জি সাশ্রয় হবে।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানের বিষয়ে যদি বলতে হয়, কোনো একটা কূপ খনন করার আগ অবধি আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। সমুদ্রে আমরা অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি, সে মোতাবেক কন্ট্রাক্টও দিয়েছিলাম। কিছু কোম্পানি কাজ নিলেও পরে তারা চলে গেছে। আমাদের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এ খাতকে ডাইভার্সিফাই করতে হবে, যেন কোনো আঘাত এলে আমরা মোকাবিলা করতে পারি। যদিও বর্তমান অভিঘাত আমাদের তৈরি নয়, আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত। বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহে কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু মহামারি সব হিসাবনিকাশ বদলে দিয়েছে। আজকের সংকট তৈরি করেছে বহির্বিশ্ব। এসব বিষয়ে আমাদের সজাগ হতে হবে।
জ্বালানি সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বের ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবীবুর রহমান প্রমুখ।
ওএফ/এনআর