মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামের হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রতিবন্ধী ছমিরনের মা নুরজাহান (৭৫) বিলাপ করে বলছিলো
‘ইমুন আজরাইল আইলো, আমার মাইয়াডারে অত্যাচারও করলো, আবার জবাই কইরা মাইরাও ফালাইলো’ । বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পার্শ্ববর্তী বড় কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত আমোদ আলীর পুত্র লোকমান হোসেন (৩৫) প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ছমিরন (৪৫) মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বাবার বাড়িতেই থাকতো। মাঝে-মধ্যেই মাদকাসক্ত লোকমান তাকে উত্যক্ত করতো। ঘটনার রাতে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী বাস্তা মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে যায়। এ সুযোগে লোকমান কৌশলে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ শেষে তাকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
পরিবারের লোকজন ওয়াজ শেষে ফেরার পথে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় রক্তমাখা অবস্থায় লোকমানকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল মজিদ লোকজন নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক লোকমানকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী সেবিকা আক্তার সুমি (৩০) বাদী হয়ে শুক্রবার লোকমানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত লোকমান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে না।
আইএনবি/বিভূঁইয়া