পাবনা প্রতিনিধি: চাটমোহরে গৃহবধূ কল্পনা রানী পালকে (৩৮) গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে নিজের হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তার স্বামী। ঘটনার সাথে জড়িত গৃহবধূর স্বামী নিরঞ্জন পাল ওরফে নিরুকে (৪৫) আটক করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৬ বছর আগে কল্পনা রানীর সাথে বিয়ে হয় নিরঞ্জন ওরফে নিরুর। দুই ছেলে দিনাজপুরে বসবাস করায় তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে থাকতেন। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কল্পনা রানীকে বেধড়ক মারধর করতেন নিরঞ্জন। রবিবার (১৯ জুলাই) এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিরঞ্জন পুলিশকে জানিয়েছে, স্ত্রীর উপর ক্ষোভ থেকে রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নিজের চায়ের দোকান থেকে গোপনে বাড়িতে যান নিরঞ্জন। শোবার ঘরে ঢুকেই স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করেন। পরে মুখ চেপে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে নিজের চা দোকানে ফিরে যান তিনি। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে নিরঞ্জন স্থানীয়দের ডেকে জানায় কল্পনা রানীকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও স্বামী নিরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিরঞ্জন পাল খুব বদমেজাজী টাইপের লোক। তার হাতে কাটা চিহ্ন দেখে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ওই গৃহবধূর বাবা মনোরঞ্জন পাল বাদী হয়ে নিরঞ্জন ওরফে নিরুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার (২০ জুলাই) মামলায় নিরঞ্জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া