আইএনবি ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোর রাতে দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। প্রত্যেকে বার্ন ইউনিটে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
দগ্ধরা হলেন- সোহাগ (২৩), রুপালি (২০) ও তাদের দেড় বছরের শিশু সুমাইয়া এবং আরেক পরিবারের লাকী (৪০) তার স্বামী হান্নান (৫০), তাদের শিশু কন্যা জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (১০), ছেলে সাব্বির (১২)।
জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষাড়ার ২নং চেয়ারম্যান অফিস ইব্রাহিমের বাড়ির টিনশেড রুমে লাইনের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ৮ জনকে রাত সাড়ে ৪টার দিকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডে দুই পরিবারের শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। আমরা খবরটা একটু দেরীতে পাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পারি এই ঘরগুলোর ফ্লোরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন রয়েছে। সেখান থেকে লিকেজ হয়ে গ্যাস ঘরে জমা ছিল। রাতে যেকোনভাবে তা আগুনের সংস্পর্শে আসলে দুই পরিবারের ৮ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি আছেন।
এদিকে দগ্ধ পরিবারগুলোর প্রতিবেশিরা জানান, রাত আনুমানিক ৩টায় আমরা একটা বিকট শব্দ শুনি। বের হয়ে দেখি দুটি ঘরে আগুন জ্বলছে। এদের মধ্যে সোহাগ ও রুপালী দম্পতিরা শরীরে আগুন নিয়ে ঘর থেকে বের হয় এবং লাকী হান্নান দম্পতিদের ঘরের দরজা ভেঙে বের করা হয়। পরে আশেপাশের মানুষসহ সকলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দগ্ধ রুপালীর ভগ্নিপতি মোস্তাফিজুর রহমান রনি আমাদের সময়কে জানান, শিশু সুমাইয়াকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রুপালী ও সোহাগকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া