নবীনগরে সাংবাদিকের পিতার উপর সন্ত্রাসী হামলা:এলাকাবাসীর ক্ষোভ

এমডি বাবুল ভূঁইয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার খড়িয়ালা গ্রামে অনলাইন পত্রিকা ‘আওয়ার কণ্ঠ ‘ এর সম্পাদক ও এস টিভির কাতার প্রতিনিধি নুরে আলম জাহাঙ্গীরের সম্মানিত পিতা আবু ছায়েদ মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে গ্রামের কতিপয় উশৃংখল মাদকসেবী যুবক।

সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে খড়িয়ালা বাজারের নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাস্তায় ওত পেতে থাকা একই গ্রামের-

১.আবু সিদ্দিক (৫০) পিতা:মৃত রহিজ মিয়া। ২.হাবিবুর রহমান (৩০) পিতা-তাজুল ইসলাম ৩.আনোয়ার হোসেন(৩৫)পিতা -শিশু মিয়া। ৪.এনামুল হক(১৮)পিতা মদন মিয়া ৫.জুয়েল মিয়া(১৮)পিতা তাজুল ইসলাম। ৬.সাফি মিয়া (২০) পিতা- জাহের মিয়া। আবু ছায়েদ মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে, সবাই কিল ঘুসি ও লাথি মারতে থাকে, একপর্যায়ে ৫০উর্ধ্ব বয়সের সম্মানিত ব্যাক্তিকে মাটিতে ফেলে হাবিবুর রহমান নামের কুলাঙ্গার বুকের উপর দাড়িয়ে পা দিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে। তার কাছে থাকা এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

পরে ছায়েদ মিয়ার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন চলে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায় ।

জানা যায়, গত একবছর যাবৎ ঈদাতুল্লাহ বাড়ি দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বসবাস করে আসছিলো, একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন, হারুর ছেলে ফজলুল হক, সুরুজ মিয়ার ছেলে কাশেম ও আশিদের ছেলে নাজির ইসলাম।

তারা বিভিন্ন সময় উছিলা তালাশ করতো অপর গ্রুপের লোকদের সাথে ঝগড়া করার। কখনো বাচ্ছাদের খেলা দোলা নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ঝগড়া বাধাঁতে চেষ্টা করতো। কিন্তু সবচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ায় গত শুক্রবার (৩/৭/২০) মানহানি করার লক্ষে মাদকাসক্তদের দিয়ে রাস্তায় অ্যাটাক করে অতর্কিত হামলা করায়।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

নিরপরাধ, সহজ-সরল আবু ছায়েদ মিয়ার উপর হামলায় ব্যথিত পুরো এলাকা। যেই মানুষটা জীবনে কাউকে গালি দিলো না, কারো সাথে ঝগড়া করলো না, কারো ১ টাকা ঠকানোর চেষ্টা করলো না। সেই মানুষটাকে একা পেয়ে নরপশুর মতো হামলা করলো।

গ্রামের হিন্দু, মুসলিম, সকল গুষ্টি ও সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মনে চাপা ক্ষোভ বইছে।

মঙ্গলবার (৭/৭/২০) আবু ছায়েদ মিয়া নিজে বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

অতি দ্রুত এর কার্যক্রম দেখতে চায় খড়িয়ালা গ্রাম সহ আশ-পাশের এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া