সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টানী চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম ক্লিনিকের রিসিপশন বিভাগের এক মেয়েকে কোমলপানীর মধ্যে চেতনাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী রিয়াজুল ইসলাম (২৫) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দিপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টানী চিকিৎসক। এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান মিঠুন(৩৬)।
এদিকে, ধর্ষিতা ওই মেয়ে (১৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। মেয়েটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি শহরের পলাশপোল এলাকার শিমুল মেমোরিয়াল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে রিসিপশন বিভাগে যোগদান করেন।
রিয়াজুল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরই জেরে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ক্লিনিকের ৫ তলায় ২ নং আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে কোমলপানীয় মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। শুক্রবার রাতে মেয়েটি ধর্ষক ইর্ন্টাানী চিকিৎসক রিয়াজুলসহ উক্ত তিন জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই ইর্ন্টানী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার শেষে গ্রেপ্তাকৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া