কুমিল্লা প্রতিনিধি:কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় মোবাইল কেনার ঘটনা নিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
আহতরা হলেন তাজুল ইসলামের ছেলে কাউছার, তার স্ত্রী আফসানা আক্তার, বোন পিংকী, শামীমা, মা তাহেরা বেগম, বাবা তাজুল ইসলাম।
কাউছার জানান, ‘আমার ভাগিনা সাইমন (২০) বাবু নামে একজনের কাছ থেকে একটি পুরনো মোবাইল ফোন ক্রয় করে। মোবাইলটা নষ্ট হওয়ায় বাবুকে মোবাইলটি নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে সে মোবাইল নেবে না এবং ১২০০ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) রাতে কিশোর গ্যাং সদস্য রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মাছুম (২২), মাসুদ (১৯), বাবু, (২২), আক্তার হোসেন (৩৫), সেলিম (৪০), মজিবের ছেলে সুমন (১৯) মিলে লাঠি-সোটা নিয়ে ভাগিনা সাইমনকে টাকার জন্য খুঁজতে থাকে এবং টাকা না দিলে ভাগিনাকে মেরে ফেলবে, পা কেটে ফেলবে বলে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ঘর থেকে বাহিরে গিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা আমাকে মারধর শুরু করে। মারতে মারতে আমাকে বাড়ির পাশে ধানের জমিতে ফেলে দেয়। আমার বাড়ির ফটক, ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর শুরু করে। তখন আমার স্ত্রী আফছানা আক্তার (২৩), আমার বোন শামিমা আক্তার (২৮), আমার মা তাহেরা বেগম (৪৫) এবং ভাগিনা সাইমন (২০), বোন পিংকি (১৬) ঘর থেকে বাইরে এলে আমার স্ত্রী, মা-বোন এবং ভাগিনাকে মারধর করে।
আমার স্ত্রী গত ৪ মাস আগে সন্তান প্রসব করে। তারা আমার স্ত্রীর তলপেটে কয়েকটি লাথি মারে। আমার ঘরে থাকা সিএনজি কিস্তির জন্য রাখা নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।’
চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মোবাইল কেনার টাকা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাতেই দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’
আইএনবি/বিভূঁইয়া