আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক সামরিক মিশন ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও বাগদাদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ মিশন শেষ হওয়ার পর দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক একটি দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত হবে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গঠিত জোটের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার ৫০০ এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় ৯০০ সেনা ইরাকে রয়েছে।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ২০১৪ সালে এ সামরিক জোট গঠন করা হয়েছিল।
যৌথ বিবৃতিতে কতজন মার্কিন সেনা ইরাক ছেড়ে যাবে এবং কোন ঘাঁটি থেকে যাবে তাসহ কয়েকটি বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি প্রত্যাহার নয়।
কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এই কথাটি বলতে চাই যে, এটি প্রত্যাহার নয়।
এটি একটি রূপান্তর। এটি একটি বহুজাতিক সামরিক মিশন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কে রূপান্তর।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী জানুয়ারিতে পরিবর্তন নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। তিনি তখন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রশংসা করলেও মার্কিন সেনারা অস্থিরতার একটি উৎস হয়ে উঠেছে।
প্রায়ই তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। তারাও ইরাকের সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় ছাড়াই পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দিচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, চুক্তি অনুয়ায়ী ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শত শত সেনা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। বাকিরা ২০২৬ সালের শেষের দিকে চলে যেতে পারে। পরিকল্পনার অধীনে, সমস্ত জোট বাহিনী পশ্চিম আনবার প্রদেশের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি ত্যাগ করবে এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাগদাদে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
মার্কিন সেনা ও জোট বাহিনীর অন্য দেশের সেনারা ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের প্রধান শহর আরবিলে থেকে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিসহ কয়েকটি দেশের কয়েকশত সেনা এই জোট বাহিনীটিতে আছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিশন তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।
সূত্র : রয়টার্স
আইএনবি/বিভূঁইয়া