নিজস্ব প্রতিনিধি: আর কতো রক্ত দিলে সাংবাদিকদের মুক্তি দিবেন, স্বাধীনতা নিবেন? রক্তের সঠিক পরিমানটা আমাদের জানিয়ে দিন। তাহলে আমাদের রক্ত দিতে সুবিধা হবে। এমনই মন্তব্য করেছেন দৈনিক অনলাইন বার্তা সংস্থার চিফ রিপোর্টার লেখক ও সাংবাদিক এমডি বাবুল ভূঁইয়া।
নীলফামারীর সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন এর সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বাবুল ভূঁইয়া এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন আমরা সংবাদকর্মীরা কি শুধু মারই খেয়ে যাব?
জানা যায়, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক করতোয়ার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ভুক্তভোগী তোফাজ্জল হোসেন এর নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাড়িতে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন। গত ৫ আগস্ট ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দরজা–জানালা ভাঙচুর করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একই কায়দায় আরও দুই দফায় হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে শুক্রবার বেলা ১২টার পর এক দফা এবং বেলা ২টার পর আরেক দফা হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ করা হলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তকারীরা । গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এসব হামলা হয়।
সাংবাদিক বাবুল ভূঁইয়া বলেন, ৩ আগস্ট এবং ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতসহ তাদের নিক্ষিপ্ত টিয়ারশেল-এ দুই বার প্রচণ্ড রকম ভাবে আহত হয়েছি। আমার অনেক সহযোদ্ধা সাংবাদিক দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। এখনো আহত আছেন অনেকে। এতো কিছুর পরও আমাদের উপর হামলা নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না।
সদ্যঘোষিত আন্তর্বর্তী সরকারে মুখে আমাদের সংবাদকর্মীদের নিয়ে কোন ভাবনার বানী এখোনও শুনিনি।
আমি আশা করি আমাদের পেশাগত দিক দিয়ে যথার্থ সম্মান, মর্যাদা এবং সকল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকর্মী কিংবা সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের অধিকার দিতে হবে এবং তাতে কেউ কোনরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, আক্রমন হত্যা সহ সকল অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনির হত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করা সহ হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবং জাতীয় প্রেসক্লাবকে দলীয়করন থেকে মুক্ত করতে হবে।