নিজস্ব প্রতিবেদক
মরণ ঘাতক করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৬ মার্চ থেকে চলা অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। রাজধানীসহ হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, দিনমজুর ও অসহায় মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার নিম্ন–মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরাও দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অসহায় হয়ে মানুষের সহায়তার সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে শুরু থেকেই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ যুবলীগ। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় করোনার প্রতিরোধে মাঠে রয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের হাল ধরার পর থেকেই একজন মানবিক নেতা হিসেবে সামনে এসেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ছুটে গিয়েছেন শীতার্ত ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর দ্বারে। শীর্তবস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রকোশ শুরু হবার পর হতেই মানবতায় দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের এ সদস্য। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পর পরপরই যুবলীগ চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা চালিয়ে সংগঠনটি। রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিনামূল্যে মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। লকডাউন শুরুর পর হতে বিতরণ করা হচ্ছে খাদ্য সামগ্রি।
সম্প্রতি নিজের অসহায়ত্ব তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এর মাধ্যমে সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া আকবর। বিষয়টি নজরে আসলে শিল্পী আকবরকে আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রি পাঠিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। যুবলীগ চেয়ারম্যানের ঘণিষ্ঠসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চেয়ারম্যানে পক্ষে শিল্পী আকবরকে সহায়তা সামগ্রি পৌছে দেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আকবরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেয়া স্ট্যাটাস যুবলীগের চেয়ারম্যানের নজরে আসে। ওনার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে আকবরের মিরপুরের বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি নগদ অর্থও আকবরের হাতে আমি তুলে দিয়েছি।