গোয়ালন্দ প্রতিনিধি: ঢাকা মেডিকেলে ৮দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে আইজদ্দিন শেখের মৃত্যু হয়।
গত রোববার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা গ্রামে উভয় প্রতিবেশীর মধ্যে টয়লেট থেকে র্দূগন্ধ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় মো. আইজদ্দিন শেখ (৮০) নামক এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং আহত হয় নিহতের ছেলে টাবলু শেখ (৩২) তার স্ত্রী শিউলি বেগম (২৭)
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উভয় প্রতিবেশীর কাঁচা টয়লেট থেকে দূর্গন্ধ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আজাই ফকিরের সাথে টাবলুর তর্কবিতর্ক হয়, এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনসহ আজাই ফকির, নজরুল মোল্লা, রাজ্জাক ফকির, হারুন ফকির,সাইদুল ফকির,রমজান ফকির, সয়াদ ফকির, দুলু ফকির ও আকাশ ফকির সহ ১০/১২ জন মিলে লাঠি সোটা নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে টাবলুর বাড়ীর উপর গিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিযে টাবলুকে এলো-পাথারি ভাবে মারতে থাকে।
এসময় টাবলুর চিৎকারে তার বাবা আইজদ্দিন শেখ ও স্ত্রী শিউলি বেগম এগিয়ে আসলে বাশেঁর লাঠি, কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে সবাইকে মারপিট করে। এ মারপিটের ঘটনায় টাবলুসহ তার বাবা ও স্ত্রী গুরুতর জখম হয়। পরে তিন জনকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে টাবলু ও তার স্ত্রী ভর্তি হয়। কিন্তু আইজদ্দিন শেখের অবস্থা বেগতিক দেখে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা মো. খলিল শেখ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ২/৩জন সহ ৯জনের নাম উল্লেখ করে ১২এপ্রিল-২০২০ইং তারিখ রাত সাড়ে ৮টায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মারামারি মামলা দায়ের করেছেন। গোয়ালন্দ ঘাট থানা মামলা নং ৬ । আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা সূত্রে জানা যায়, যেহেতু আইজদ্দিন শেখ আজ মারা গেছে সেহেতু এই মামলা এখন হত্যা মামলা রুপান্তর হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া