ক্রীড়া ডেস্ক: হাসপাতালে মাস দেড়েক ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন ফুটবলার পিকে ব্যানার্জি। গত সোমবার রাতে কলকাতার যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসায় ছিলেন তারা জানিয়ে দেন- চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ও কোচকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। কিন্তু শুক্রবার শেষ হলো তার জীবন যুদ্ধ।
চলেই গেলেন কিংবদন্তি ফুটবল কোচ পিকে ব্যানার্জি। ৮৩ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বুকে সংক্রমণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন ভারতীয় একটি হাসপাতালে। পারকিনসনে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এবার হার মানতেই হলো তাকে।
ভারতবর্ষে দারুণ সম্মানিত এক ফুটবলার ও কোচ পিকে ব্যানার্জি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে।
ভারতের জার্সি গায়ে পিকে খেলেছেন ৪৫টি ম্যাচ। করেছেন ১৪টি গোল। পাঁচ ফুট সাড়ে আট ইঞ্চি উচ্চতার এই স্ট্রাইকার ১৯৫৮, ৬২ এবং ৬৬ সালের এশিয়াডে খেলেন ভারতের হয়ে। ১৯৬২ সালের জাকার্তা এশিয়াডে চুনি গোস্বামী, তুলসীদাস বলরাম, জার্নাল সিংদের নিয়ে সোনার পদক এনে দেন পিকে ব্যানার্জি।
এছাড়া কলকাতার ফুটবলেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে শুরু। তারপর মাঠ মাতিয়েছেন দীর্ঘদিন। তার পথ ধরে ১৯৬১ সালে অর্জুন আর ১৯৯৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন পিকে। খেলা ছেড়ে কোচ হিসেবেও বেশ সফল। তার হাত ধরেই সাফল্যের চূড়া ছুঁয়েছেন বাইচুং ভুটিয়ারা।
আইএনবি/বিভূঁইয়া