ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সৌম্য সরকারের বিয়েতে সাতটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে বিয়ের আসরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে সৌম্যের বড় ভাইসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খুলনা ক্লাবে সৌম্যর বিয়ে উপলক্ষে ছাদনাতলা তৈরি করা হয়। ভিড়ে ঠাসা গেট দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের সময় দীনবন্ধু মিত্র নামে এক বরযাত্রীর মোবাইল চুরি হয়। এর পর ক্রিকেটারের বাবা, বন্ধু আলিসহ আরও ৬ জন ফোন হারান।
ক্রিকেটারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, চোরদের হাতেনাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা বরযাত্রীদের ওপর হামলে পড়ে।দুই পক্ষের হাতাহাতিতে সৌম্যর বড় ভাই প্রণব গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটার পর চুরি হওয়া একটি মোবাইলে কল করলে ভরা বিয়েবাড়িতে সেটি বেজে ওঠে। যার কাছে সেটি পাওয়া যায়, তাকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে বাকি মোবাইলের হদিশ মেলে। ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তেজনা সামাল দিতে খুলনা ক্লাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
খুলনা সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, সৌম্যর বিয়েতে মোবাইল চুরি, মারামারি, হাতাহাতির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজনের নাম মোহাম্মদ সেলিম (৩৮), আর অপরজনের নাম মোহাম্মদ রাসেল। দুজনই ঢাকার মিরপুরে থাকে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা পেশাদার চিন্থিত চোর। হট্টগোলের উদ্দেশেই সেখান থেকে এখানে আসে ওরা। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক স্তরে নাম কুড়ানো ক্রিকেটারের বিয়েতে এমন ঘটনা কেন ঘটবে, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগও তুলছেন তারা।
খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন সৌম্য। বুধবার মধ্যরাতে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন তারা। একে অপরের গলায় মালাবদল করেছেন।
জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন সৌম্য-পূজা। ইতিমধ্যে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তারা।
-যুগান্তর
আইএনবি/বিভূঁইয়া