আইএনবি নিউজ: নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে চীনা নাগরিকদের ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা সুবিধা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে ‘বৈশ্বিক সতর্কতা জারি’ করায় বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা থাকাকালে, বিশেষ করে আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকায় থাকা কোরো চীনা নাগরিক যেন ছুটিতে দেশে না যান। বাংলাদেশে চলামান চীনের বিভিন্ন প্রজেক্টে চীন থেকে নতুন করে যেন কোনো লোক না আনা হয়।”
‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা সুবিধার আওতায় চীনা নাগরিকরা এতদিন বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরে নেমেই ভিসা নিতে পারতেন।
সেই সুবিধা স্থগিত করা হলেও চীনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ হচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তারা ভিসার জন্য সেখান থেকে নিয়মমাফিক আবেদন করতে পারবেন, তারা ফিট আছেন- এরকম একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে।”
মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নতুন এই করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। সাধারণ ফ্লুর মত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে, উপসর্গগুলো হতে পারে অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।
নতুন এই করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
শনিবার পর্যন্ত চীনে ৩০৪ জনের এবং ফিলিপিন্সে একজনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসের সংক্রমণে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
চীনের বাইরে দুই ডজন দেশে শতাধিক মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় এবং কখনও চীনে যাননি এমন মানুষও আক্রান্ত হতে শুরু করায় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উহান থেকে ৩১২ জনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে থাকা যে চীনারা সম্প্রতি দেশে ঘুরে এসেছেন, তাদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অসুস্থ এক চীনা নাগরিক এবং সর্দি-জ্বর নিয়ে চীনফেরত এক বাংলাদেশি প্রকৌশলীকে হাসপাতালে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হলেও পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আইএনবি/এনএম