কুমিল্লা প্রতিনিধি:বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর কুমিল্লার পুলিশ লাইন এলাকায় হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় জেলার সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার ডুমুরিয়া চান্দপুর গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. ইনজামুল হক রানা বাদি হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্র জানায়, মামলায় বাহাউদ্দীন বাহারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি জিএস আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ সহিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাভেল,
আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম বকুল, সাবেক পিপি এড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূইয়া, মহানগর কৃষকলীগের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, এমপি বাহারের জামাতা সাইফুল আলম রনি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিপন, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, সাবেক কাউন্সিলর শাহলম খান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আজিজ সিহানুক, যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম শাওন প্রমুখ।
মামলার বাদী মো. ইনজামুল হক রানা বলেন, সেদিন আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। আমরা এ ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, মামলায় বাহাউদ্দীন বাহারসহ ২৬১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ৫ অগাস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া