আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হায়দ্রাবাদের পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করল তেলেঙ্গানা পুলিশ। যেখানে নিগৃহীতার গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য শুক্রবার ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চার অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে, তখনই পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তেরই। (এইসময়)
এদিকে নির্ভয়ার মা আশা দেবী এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, অন্তত একজন কন্যা সুবিচার পেল। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাব। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে আমি ৭ বছর ধরে চিত্কার করে যাচ্ছি। বলছি, প্রয়োজনে সমাজের স্বার্থে আইন ভাঙুন। এখনও আদালতে চক্কর কেটে যাচ্ছি। আবারও একটা ১৩ ডিসেম্বর আসছে। আবার আদালতে যেতে হবে। আমার ক্ষতে মলম পড়ল। হায়দ্রাবাদে পশু চিকিত্সক ধর্ষণ-খুনে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যু হওয়ার ঘটনাকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করলেন নির্ভয়ার মা।
হায়দরাবাদের নিহত পশু চিকিত্সকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আশা দেবী বলেছেন, তার বাবা-মা নিশ্চয়ই খুব স্বস্তি পেয়েছে। তাদের কন্যা সুবিচার পেল। এমন নৃশংস ঘটনার অপরাধীদের মধ্যে এ বার কিছুটা হলেও ভয় জন্মাবে।
পুলিশের শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেসাভুলুর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ভোর রাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য অভিযুক্তদের অপরাধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। তখনই ৪৪ নং জাতীয় সড়কের উপর শুরু হয় এনকাউন্টার।
২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি চার লরিচালককে পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২৯ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শনিবার তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় আদালতে পাঠানো হয়। দ্রুত তাদের কড়া শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে দাবি উঠেছিল। এই মামলার শুনানির জন্য বুধবার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে তেলেঙ্গানা সরকার।
আইএনবি/বিভূঁইয়া