নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে শারীরিক নির্যাতন করে স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী। বুধবার উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার শেখপাড়ায় বর্বোরচিত ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী নির্যাতিত নারীর নাম সাবিনা বেগম। তিনি ওই গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নাগর সৈয়দপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ঝিনুর মেয়ে।
নির্যাতনের শিকার সাবিনা বেগম জানান, পাঁচ বছর পূর্বে ঢাকায় তাদের পরিচয় হয়। এরপর তাঁরা দুজনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ঢাকা থেকে স্বামীর বাড়ি বাগাতিপাড়ার শেখপাড়ায় আসেন। এরপর থেকেই স্বামী হায়দার আলী কাজ কর্ম না করে সারাদিন নেশা করে ঘুরে বেড়ান। বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকা না পেলে স্বামী হায়দার আলী সাবিনার ওপর নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে মাঝে মধ্যেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দিতেন। বুধবার সকালে আবারও বাবার বাড়ি থেকে নেশার করার জন্য ৬ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন। কিন্তু সাবিনা বেগম তাতে অস্বীকৃতি জানান। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাবিনাকে তাঁর স্বামী বেধড়ক পেটায় এবং স্ত্রীর চুল কেটে দেয়। সেসময় প্রাণ রক্ষায় তিনি ছুটে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিয়ে থাকেন। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার সাবিনার মা সুফিয়া বেগম বাগাতিপাড়ায় এসে মেয়েকে উদ্ধার করে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের সহায়তায় তাদের বাড়ি তাড়াশে নিয়ে যান।
ইউপি সদস্য আনোয়ারের স্ত্রী জানান, সাবিনা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে। মাথার চুল কেটে দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কালশিরা, জখম হয়েছে।
খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হায়দার আলী জানান, নিজের স্ত্রীকে তিনি মেরেছেন। এতে কারে কি বলার আছে। তবে বাপের বাড়ি চলে যেতে না পারে সেইজন্য তিনি তার স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন। কথাগুলো বলার পরপরই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, এ সংক্রান্ত তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ খবর নিবেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া